আমরা অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাই, কিন্ত সঠিক Business Idea – এর অভাবে আমারা সঠিক ব্যবসা শুরু করতে পারি না। এছাড়া ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে আমরা অনেকেই ভয় পাই। এর একটা বড় কারণ যদি কোন কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। আপনাদের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে অনেক ব্যবসার ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরি। আজকের আর একটি নতুন ব্যবসার কথা বলব।
আপনি যদি কোন ভালো ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন? তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার অনেক কাজে লাগবে। আজকে একটি এমন ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো যেটি শুরু করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। তবে ব্যবসা করতে চাইলেই তাড়াহুড়ো করে যে কোনো কিছু শুরু করে দেওয়া উচিত নয়। কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে তার বাজার চাহিদা, লাভের জায়গা, বিনিয়োগের পরিমান ইত্যাদি সমস্ত কিছু দেখে নিয়ে তবেই তা শুরু করা উচিত। আজকের এই ব্যবসায় মানুষের জন্য সরকারি পরিষেবা দেওয়ার ব্যবসা। এই ব্যবসা তে গ্রাহকের কোনদিন অভাব হবে না।
আমাদের দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যাংককে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়, ঠিক ততটাই গুরুত্ব দেওয়া হয় পোস্ট অফিসকে । অর্থাৎ এক্ষেত্রে আমাদের সঞ্চিত টাকা ব্যাঙ্কে যেমন রাখা হয় ঠিক তেমনই কেউ কেউ মহামূল্যবান অর্থ সেটি পোস্ট অফিসে জমান। তবে পোস্ট অফিসে এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা ও পাওয়া যায়। এবং ডাক বিভাগ বা পোস্ট অফিস মানুষের সুখ-দুঃখের প্রায় প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে জড়িত।
ব্যাংকের হয়ে যেমন অসংখ্য কর্মী জীবিকা নির্বাহ করেন, তেমনি পোস্ট অফিসেও তাই। তবে শুধুমাত্র সরকারিভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করে নয়, অন্যভাবেও করা যেতে পারে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে রোজগার। তাও আবার উচ্চশিক্ষিত না হয়েও । কিভাবে জানেন? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত তথ্য।
আজকে আমরা পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি (Indian Post Office Franchise) খোলা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে প্রতি মাসে আপনি ৪০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি গ্রহণ করে যেকেউ গ্রামে বা শহরের কোথাও পোস্ট অফিসে কাজ করে সহজেই উপার্জন শুরু করতে পারেন।
এখনো দেশের এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে নেই ঠিকঠাক কোনো ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের ব্রাঞ্চ। এমন জায়গায় নিঃসন্দেহে একটি পোস্ট অফিস খোলা যেতেই পারে। যাতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন অর্থ সংক্রান্ত কাজকর্ম করতে আরও সুবিধা হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজিং নিতে হলে কি করতে হবে।
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
১) যিনি পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার কথা ভাবছেন বা নিতে ইচ্ছুক তাকে অবশ্যই একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২) অবশ্যই ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
৩) শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যে শুধুমাত্র অষ্টম পাস হলেই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
কিভাবে নেবেন পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজিং
পোস্ট অফিসে দুই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়েছে।
১) আউটলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি,
এবং ২) পোস্টাল এজেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ইচ্ছুক ব্যক্তিরা এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যে সমস্ত এজেন্টরা ডাকটিকিট এবং স্টেশনারি জিনিসপত্র শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন তারাও ডাক এজেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি নামে পরিচিত।
কিভাবে টাকা আয় করবেন –
পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার পরে কমিশনের মাধ্যমে উপার্জন করা যেতে পারে। আবার রেজিস্টার্ড আর্টিকেল, স্পিড পোস্ট বুকিং, মানি অর্ডার, রেজিস্ট্রি, ডাকটিকিট, পোস্টাল স্টেশনারি এবং মানি অর্ডার ফর্ম বিক্রি করে আয় করা যেতে পারে।
তবে আবেদনের পর, যারা ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য নির্বাচিত হবেন তাদের সবাইকে ডাক বিভাগের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর এই পোস্ট অফিস প্রদত্ত সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেশবাসীকে দেওয়ার কাজ শুরু করার অনুমতি পাওয়া যাবে।
অনেকেই এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার ব্যাপারটি সম্পর্কে পরিচয় থাকলেও অনেকেরই এই ব্যাপারে কোন আইডিয়া নেই। আপনিও যদি ভেবে থাকেন যে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি দেশবাসীকে সেবা করতে তাহলে এই পথটি বেছে নিতেই পারেন নিঃসন্দেহে।
উপসংহার –
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।