বেশিরভাগ মানুষ চায় পড়াশুনা শেষ করে কোন একটা ভাল চাকরি পেয়ে জীবনকে সেটেল হয়ে জাওয়া এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে সফল ভাবে জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়া। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা তাদের স্বপ্নের জন্য সবকিছু ছেড়ে দেয়। আজ আমরা আপনাদের এই লেখাতে সেরকমই একটি বলব যেখানে স্বামী-স্ত্রী তাদের চাকরি ছেড়ে তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং আজ তারা কোটি টাকার মালিক, এবং অনেক মানুষের জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য একটি ভাল উদাহরণ।
অমিত শ্রীবাস্তব এবং শিপ্রা মোহন তাদের ভাল চাকরি ছেড়ে উত্তরাখণ্ডের ল্যান্সডাউনের পাহাড়ে তাদের নিজেদের থাকার ব্যবস্থা করে তাদের স্বপ্নের ক্যাফে ল্যান্সডাউন ট্রিপ ট্রাভেল ক্যাফে শুরু করেন (Lansdowne Trip Travel Cafe) , যা এই মুহূর্তে পর্যটকদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। অমিত এবং শিপ্রা আজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে তারা দুজনেই তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য তরুণদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
অমিত শ্রীবাস্তব এবং শিপ্রা মোহন স্কুল থেকেই তারা খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। দিল্লিতে একসঙ্গে দুজনে এমবিএ পাশ করেন, এবং তারপর তারা দুজনেই ভালো চাকরি ও পেয়ে যান। এর পর দুজনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। অমিত দিল্লিতে HDFC ব্যাঙ্কে কাজ করতেন এবং শিপ্রা আউটলুক ম্যাগাজিনে কোম্পানিতে ভাল পদে কাজ করতেন। দুজনের জীবন খুব ভালোই চলছিল, কিন্তু তারা শুধু চাকরি করেই জীবন কাটাতে চায়নি।
অমিত শ্রীবাস্তবের জীবনে হটাত একটা খুব বড় পরিবর্তন আসে যখন উত্তরাখণ্ডের তার নিজের গ্রাম দেবীখালের এক আত্মীয় যখন তাকে অনুরোধ করেন তার ছেলেকে শহরে যেকোনো চাকরি খুজে দেওয়ার জন্য । তখন তিনি চিন্তা করলেন তিনি এমন কিছু করবেন যাতে যুবকদের নিজের গ্রাম, পরিবার ও নিজের জমি ছেড়ে ইনকামের জন্য শহরে না আসতে হয়।
এর পরে অমিত শ্রীবাস্তব এবং শিপ্রা মোহন তার নিজের গ্রামের প্রায় 100 বছরের পুরনো পড়ে থাকা খচ্চর রাখার ঘর কে সংস্কার করে একটি ক্যাফে বানিয়ে ফেলেন। দুজনেই তাদের নিজস্ব সৃজনশীলতা দিয়ে খচ্চর শেডটিকে “ল্যান্সডাউন ট্রিপ ট্রাভেল ” ক্যাফেতে রূপান্তরিত করেছিলেন। যদিও এই সমস্ত কাজ এত সহজ ছিল না, এর প্রধান কারন সেই সময়ে কেউই সেই ছোট গ্রামে তেমন ঘোরার জন্য আসত না। তাই এটা এদের কাছে একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
কিন্তু অমিত শ্রীবাস্তব এবং শিপ্রা মোহন হাল ছেড়ে দেননি এবং তাদের চাকরির পাশাপাশি ক্যাফে পরিচালনা করতে শুরু করেন। ছুটির দিনে দুজনেই ক্যাফের কাজ দেখতেন এবং তারপর ধীরে ধীরে তাদের ক্যাফে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে লোকে অমিত আর শিপ্রার কনসেপ্ট পছন্দ করল এবং লোকজন আসতে লাগল। আজ, 5 বছর পর, ল্যান্সডাউন ট্রিপ ট্র্যাভেল ক্যাফে ট্রিপ অ্যাডভাইজরি সাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ছাড়াও গুগলে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
অমিত শ্রীবাস্তব এবং শিপ্রা মোহন 35 বছর বয়সে সবকিছু অর্জন করেছিলেন, কিন্তু এখন তারা তাদের কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে একজন প্রকৃতিবিদ হিসাবে কাজ করেছেন। অমিত ও শিপ্রা তাদের অনন্য ভাবনা দিয়ে সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
আজকের তারা এক সফল দম্পতি হিসাবে সবার কাছে অনুপ্রেরণার কাহিনি হয়ে উঠছেন। এই রকম আমাদের দেশে যত অমিত শিপ্রা রা নিজেদের প্রতিভা কে প্রস্ফুটিত করবে সধারন গরীব মানুষ ততই উপকৃত হবেন। তাই তাদের কে সেলাম করতেই হয়।
যদি আপনার এরকম তথ্য ভাল লাগে তবে facebook এ অবশ্যই লাইক দেবেন ও অন্যকে শেয়ার করবেন।
উপসংহার –
ব্যবসা-বাণিজ্য, নান রকমের খবর, প্রতিদিনের সমস্যা সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।