পথিবীতে অনেক ধরনের ব্যবসা আছে, যেগুলো সহজে শুরু করা যায়। এসব ব্যবসা খোলার জন্য কোনো শিক্ষার প্রয়োজন নেই। একজনকে কেবল সবকিছু সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। অন্যদিকে, আপনি যদি আপনার ব্যবসা খোলার কথা ভাবছেন, তবে আপনি Straw (পাইপ) তৈরির ব্যবসা খুলতে পারেন। এই ব্যবসা খুলতে আপনাকে খুব শিক্ষিত হতে হবে না। এছাড়াও, এই ব্যবসা খুলতে আপনার বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে না।
তবে আজকের দিনে অনেকে আবার ৮ ঘন্টা অফিসে বসে অক্লান্ত পরিশ্রমের চেয়ে ব্যবসা করতেই বেশি পছন্দ করেন, তাদের জন্য বড়ো সুযোগ। একটি ব্যবসার মাধ্যমে মাসে আয় করা সম্ভব প্রায় লাখ টাকা।
কিন্তু কিসের ব্যবসা করলে ব্যবসায় চটজলদি মুনাফা লাভ করা সম্ভব, তা অনেকেই ভেবে পান না। আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হবে সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। টি-শার্ট প্রিন্টিং বিজনেসের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
এই ব্যবসার জন্য কি কি জিনিসের প্রয়োজন?
বর্তমানে টি-শার্টের চাহিদা খুব একটা কম নয়। জিন্স হোক বা শর্ট প্যান্ট কিংবা ডিজাইনার প্যান্ট সবেতেই প্রয়োজন হয় টি-শার্টের। তেমন পরিশ্রমের কাজ নয় এটি। প্রথমে বাড়িতেই এই কাজ শুরু করা যাবে। অনলাইন থেকে যে কোনো ব্যবসায়ী টি-শার্ট প্রিন্টিং এর মেশিন কিনে বাড়িতে বসে বিভিন্নরকম টি-শার্টে ডিজাইন করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, এই মেশিনের পাশাপাশি লাগবে কোন ডিজাইন ছাড়া অর্থাৎ ফাঁকা এক রঙের টি-শার্ট। এরপর বিভিন্ন প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে কাজ করতে হবে।
কি কি জিনিস কিনতে হবে –
১) টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন।
২) স্যাম্পল টি-শার্ট।
৩) প্রিন্টিং এর জন্য কালি।
৪) টেফলন শিট (টি-শার্টে প্রিন্টিং করতে গিয়ে ওভারহিটিং না হয় সেইজন্য টি-শার্টটির ওপরে ডিজাইন এবং টেফলন পেপার রাখা হয়)।
৫) সেলোটেপ (বিশেষ করে টেফলন শিটকে শার্টের সাথে ভালোভাবে লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হয়)।
এই ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগবে ?
টি-শার্ট প্রিন্টিং এর ব্যবসা শুরু করতে চাইলে খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন নেই। মাত্র ১ লাখের মধ্যেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জিনিসগুলো কিনে এই ব্যবসা (The New Business Ideas) শুরু করা সম্ভব। এমনকি এই ব্যবসার সাথে জড়িত টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিনও খুবই কম দামে অনলাইন থেকে কেনা যাবে। এছাড়াও এক একটি টি-শার্ট কিনতে প্রায় ৭০-৮০ টাকা লাগতে পারে। খুব কম দামে যদি ভালো কোয়ালিটির টি-শার্ট পাওয়া যায় তাহলে তো কোনো কথাই নেই .।
প্রিন্টিং টি-শার্ট কোথায় বিক্রি করবেন ?
টি-শার্ট ডিজাইন করার পর প্রথমদিকে নিজস্ব এলাকার কাপড়ের দোকান বা আশেপাশের ছোটখাটো শপিংমলের মালিকের সাথে কথা বলে পাইকারি রেটে সেগুলি বিক্রি করা যাবে। টি-শার্ট এর দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কোয়ালিটি ও ডিজাইন ভালো হলে ধীরে ধীরে বাড়বে চাহিদাও। মাত্র একটি টি-শার্ট ৮০ টাকার মধ্যে কিনে তাতে প্রিন্ট করে প্রায় ২০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এইভাবে ধীরে ধীরে ব্যবসায় উন্নতি লাভ করার সাথে সাথে টি-শার্টের ব্র্যান্ডের পরিচিতিও বাড়বে। এবং এটা যদি অন লাইন বিক্রি করা শুরু করেন এবং গ্রাহকদের পছন্দ হতে শুরু করে তবে আপনার মাসে লাখ টাকা আয় খুব একটা বড় ব্যাপার নয় ।
যদি এই ব্যবসা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানবেন , আমি পরের কোন লেখায় তা আলোচনা করব, এবং অবশ্যই ফেসবুকে লাইক দেবেন।
উপসংহার –
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন। এবং ফেসবুকে লাইক দেবেন।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।