দীঘার পর্যটকদের জন্য খুব বড় একটি সুখবর দীঘা মেরিন ড্রাইভ বা সৈকত সুন্দরী সড়কটি চালু হওয়ায় দীঘা ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে যাতায়াতে খুবই সুবিধা হবে। এই এলাকায় আরও প্রসারিত হবে সার্কিট ট্যুরিজম। আশা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই রাস্তা চালু হওয়ায় পর গাড়ি বা টু হুইলারে দীঘা, মন্দারমণি ও তাজপুরে যাতায়াতের সময় কমবে। দীঘা এলাকায় দীঘার পর্যটকদের জন্য এটা একটা দুর্দান্ত প্রকল্প । সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সমুদ্রের কাছ বরাবর তৈরি এই রাস্তার উদ্বোধন করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন।
এই রাস্তা চালু হয়ে গেলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে –
- দীঘা ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে যাতায়াতে খুবই সুবিধা হবে ।
- এই রাস্তা চালু হওয়ায় পর গাড়ি বা টু হুইলারে দীঘা, মন্দারমণি ও তাজপুরে যাতায়াতের সময় কনেক কমবে।
- এই রাস্তায় বাস-লরি চালানোর অনুমতি সরকার দেবে না, তাই যানজট থাকবে না।
- এতদিন দীঘা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা ছিল ১১৬ বি জাতীয় সড়ক। নন্দকুমার থেকে দীঘা পর্যন্ত, এই জাতীয় সড়কের কয়েকটি স্থানে ফ্লাইওভার, বাইপাস প্রভৃতি থাকলেও, অনেক জায়গায় রাস্তা খুব সঙ্কীর্ণ। এখন পর্যটকদেরও এই সমস্যা আর হবে না।
- এখন গাড়ি, টু হুইলারে সওয়ার পর্যটকরা কাঁথি থেকে বিকল্প রাস্তাটি ধরতে পারবেন।
- এতদিন মন্দারমণি যেতে চাউলখোলা মোড় থেকে এবং তাজপুর যেতে আলমপুর থেকে ভিতরের রাস্তা ধরতে হতো। শঙ্করপুর যেতে ১৪ মাইল থেকে ভিতরের রাস্তা ধরতে হয়। সঙ্কীর্ণ রাস্তা তিনটি প্রায় বেহাল। এখনই মেরিন ড্রাইভ ধরে কাঁথি থেকে তাজপুর, মন্দারমণি পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা নেই।
- সমুদ্র সৈকত ধরে কাঁথি থেকে শঙ্করপুর-দীঘাও সহজে যাওয়া যাবে। এখন দীঘা থেকে নতুন রাস্তা ধরে ৬ কিমি পেরিয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যে শঙ্করপুর যাওয়া যাচ্ছে। আগে অন্তত ১৫-১৬ কিমি সরু রাস্তা পেরতে হতো। কাঁথি থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে মন্দারমণি পৌঁছনো যাবে। আগে সময় লাগত পৌনে এক ঘণ্টার বেশি ।
- মেরিন ড্রাইভের পাশের দৃশ্যটি নয়নাভিরাম।
- পুরো পথে মাঝেমাঝেই সমুদ্রের দেখা মিলবে। দীঘা ছাড়ার পর দেখা মিলবে বড় জলাশয়ের, সেখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে শীতকালে।
- চম্পা নদীর মোহনা, মাছের আড়ত, প্রাচীন নাইয়া কালীমন্দিরও দেখতে পাবেন পর্যটকরা
রাস্তাটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৭৩ কোটি টাকা। ২৯.৫ কিমি দীর্ঘ রাস্তাটি দীঘা গেট থেকে কাঁথির শৌলা পর্যন্ত গিয়েছে। রাস্তার উপর তিন জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। শৌলা ও কাঁথির দূরত্ব ৯ কিমি। এই রাস্তায় বাস-লরি চালানোর অনুমতি সরকার দেবে না।
তবে তাজপুর ও শঙ্করপুরের মধ্যে তিন কিমি রাস্তা খারাপ। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা জানিয়েছে, এই এলাকায় সমুদ্র সৈকতে বোল্ডার ফেলার কাজ চলছে। তাই রাস্তা মোটামুটি তৈরি হলেও সমস্যা আছে। মাস কয়েকের মধ্যেই এই সমস্যা দূর হবে বলে তাঁদের আশা।
যদি আপনার এই খবর ভাল লেগে থাকে তবে facebook এ অবশ্যই লাইক দেবেন ও অন্যকে শেয়ার করবেন।
এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন। ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।