আমরা অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাই, কিন্ত সঠিক Business Idea – এর অভাবে আমারা সঠিক ব্যবসা শুরু করতে পারি না। আনেক সময় আমরা ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে ভয় পাই। কিন্তু আমাদের আশেপাশে অনেক সফল মানুষ আছেন যারা অনেক কম টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেছেন এবং আজ প্রচুর টাকা ইনকাম করে সফল হয়েছেন। আজ আপনাদের কে এরকম একজনের কথা জানাব ।
আজ বাংলাদেশের মিরাজুল ইসলাম-এর কথা আপনাদের কে জানাই। ইউটিউব থেকে ড্রাগন চাষ শিখে এখন বাংলাদেশের উপজেলার সবচেয়ে বড় বাগান তৈরি করে ফেলেছেন মিরাজুল ইসলাম । বিদেশে ১০ বছর থাকার পর দেশে ফিরে প্রায় এক বছর বেকার জীবন কাটান মিরাজুল । তখন বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। এখন সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান রয়েছে তার ।
মিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তিনি একজন কৃষক বাড়ির ছেলে, কিন্তু বিদেশে থেকে কিছু বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য তিনি শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু বিশেষ কিছু কারনে তিনি সেরকম জমা করতে পারেননি। । এবং বাড়ি ফিরে তিনি প্রায় বসেই ছিলেন। কিছু একটা করবেন বলে মনে মনে একটা বড় প্রতিজ্ঞা করে নিয়েছিলেন। । একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।
ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর সমস্ত খরচ উঠে যায় । সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়।
তবে এখন মিরাজুল ইসলাম পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। এবং সেই নতুন চারা রোপণ করে তিনি তার বাগানকে আরও বড় করছেন ও অন্যদেরকে বিক্রি করছেন।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।
বাগানের বেশির ভাগ গাছে খুব ভাল ফল ধরে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন তিনি । স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।
মিরাজুল ইসলাম কথায় , ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এবছর এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।
ড্রাগন ফলের চাষ একটা খুবই লাভজনক চাষ, যেকেউ যেকোনো পতিত জনিতে এই ধরনের চাষ করতে পারেন। ও অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
উপসংহার – আপনাদের যদি এই লেখা থেকে কিছুমাত্র লাভ হয় তবে তবে কমেন্ট করবেন। আমরা আরও নতুন নতুন সাফ্যলের গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।