আমরা অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাই, কিন্ত সঠিক Business Idea – এর অভাবে আমারা সঠিক ব্যবসা শুরু করতে পারি না। এছাড়া ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে আমরা অনেকেই ভয় পাই। এর একটা বড় কারণ যদি কোন কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। আপনাদের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে অনেক ব্যবসার ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরি। আজকের আর একটি নতুন ব্যবসার কথা বলব।
আপনি যদি কোন ভালো ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন? তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার অনেক কাজে লাগবে। আজকে একটি এমন ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো যেটি শুরু করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। তবে ব্যবসা করতে চাইলেই তাড়াহুড়ো করে যে কোনো কিছু শুরু করে দেওয়া উচিত নয়। কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে তার বাজার চাহিদা, লাভের জায়গা, বিনিয়োগের পরিমান ইত্যাদি সমস্ত কিছু দেখে নিয়ে তবেই তা শুরু করা উচিত।আজকের এই ব্যবসায় বাজার চাহিদা সবসময়েই ভালো থাকে, এবং এর চাহিদা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে। বিনিয়োগের পরিমানও অন্যান্য বড়ো ব্যবসার তুলনায় অনেকটা কম। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সেই ব্যবসা সম্পর্কে ।
ব্যবসার চাহিদা
দেশে-বিদেশে মধুর ব্যাপক চাহিদা। পুজো থেকে প্রসাধনী- সব তালিকাতেই স্থান পায় মধু বা মধুজাত বিভিন্ন দ্রব্য। শুধুমাত্র যে গ্রামাঞ্চলে বসবাস করা ব্যক্তিরাই এই ব্যবসা ( শুরু করতে পারেন তা নয়। শহর বা শহরতলীতেও করা যেতে পারে এই মধুর ব্যবসা। মধু বিক্রি করে প্রচুর বিদেশী মুদ্রা আয় হয় ।
ব্যবসার প্রশিক্ষণ দরকার
বর্তমানে বহু সংখ্যক মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তবে অবশ্যই ব্যবসা শুরু করার আগে মৌমাছি প্রতিপালন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান সঞ্চয় করা দরকার। সরকারি স্তরে সারা বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। জ্ঞান থাকা সাথে সাথে দরকার ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাঁচামাল। যেগুলি আগে থেকেই জেনে রাখা প্রয়োজন ।
তবে এই ব্যবসা অল্প কিছু মৌচাক দিয়ে শুরু করা যায় । আজকাল তো কেন্দ্রীয় সরকারও যথেষ্ট মৌমাছি প্রতিপালনের ব্যবসাকে উৎসাহিত করে চলেছে। আর তাই এই ব্যবসার জন্য দেওয়া হচ্ছে ঋণ এবং ভর্তুকিও। তবে ব্যবসা শুরুর আগে সকলেই জানতে চান ব্যবসাটি থেকে কতো পরিমাণ লাভ হতে পারে।
সরকারি সাহায্য কোথায় পাবেন –
MSME সেক্টরের আওতায় এই জাতীয় একাধিক প্রোগ্রাম চালানো হচ্ছে। ব্যবসাটি শুরু করার জন্য সরকারের তরফ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত টাকা ঋণ নিতে পারবেন ব্যবসায়ী। তাছাড়া কমিশনের তরফে ২৫ শতাংশ ভর্তুকিও পাওয়া সম্ভব। বর্তমানে অনেক বড় বড় কোম্পানি এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণ মধু উৎপন্ন করছেন এবং দারুণ সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা বৃদ্ধি করে চলেছেন।
কত লাভ হতে পারে –
আপনি যদি বছরে ১০ কেজি মধু প্রস্তুত করেন। সেক্ষেত্রে যদি তিনি প্রতি কেজি মধু ২৫০ টাকা করে বিক্রি করেন তবে বছরে তার বিক্রি হবে ৩০ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে সমস্ত খরচ বাদ দিয়েও অনায়াসে বছরে ৫ লক্ষ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। আর বলাই বাহুল্য, যত বেশি পরিমাণে মৌমাছি প্রতিপালন করা হবে কত তাড়াতাড়ি ব্যবসা এবং আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
উপসংহার –
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।