আমরা অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাই, কিন্ত সঠিক Business Idea – এর অভাবে আমারা সঠিক ব্যবসা শুরু করতে পারি না। এছাড়া ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে আমরা অনেকেই ভয় পাই। এর একটা বড় কারণ জদি কোন কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। আপনাদের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে অনেক ব্যবসার ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরি। আজকের আর একটি নতুন ব্যবসার কথা বলব।
আপনি যদি কোন ভালো ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন? তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার অনেক কাজে লাগবে। আজকে একটি এমন ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো যেটি শুরু করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। তবে ব্যবসা করতে চাইলেই তাড়াহুড়ো করে যে কোনো কিছু শুরু করে দেওয়া উচিত নয়। কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে তার বাজার চাহিদা, লাভের জায়গা, বিনিয়োগের পরিমান ইত্যাদি সমস্ত কিছু দেখে নিয়ে তবেই তা শুরু করা উচিত। তবে আজকের এই ব্যবসায় বাজার চাহিদা সবসময়েই ভালো থাকে, এবং এর চাহিদা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে। বিনিয়োগের পরিমানও অন্যান্য বড়ো ব্যবসার তুলনায় অনেকটা কম। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সেই ব্যবসা সম্পর্কে ।
আজকের আলোচিত ব্যবসা হলো জলের ব্যবসা; এই ব্যবসা ভালো করে শুরু করলে আপনি প্রতি মাসে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন। জলের ব্যবসা সাধারণত বোতল বা ড্রাম বিক্রির মাধ্যমে করা হয়। পানীয় জল পরিশুদ্ধ করে তা বোতলে বা ড্রামে বিক্রি করে আপনি অনেক টাকা কামাতে পারবেন। বাজারে ১ লিটার থেকে শুরু করে ৪-৫ লিটরের বোতলও পাওয়া যায়। আর মূলত ২০ লিটার জলের ড্রামগুলো বেশি বিক্রি হয়।
কেন জলের ব্যবসা শুরু করবেন?
জল আমাদের দেহের অপরিহার্য অংশ। জল ছাড়া আমরা কেউই বাঁচতে পারবোনা। প্রতিদিনই একজন মানুষ নির্দিষ্ট পরিমান জল খেয়ে থাকেন। কিন্তু রাস্তার বা বাইরের পানীয় জলে অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ থাকার ফলে প্রচুর মানুষ পানীয় জলের পরিবর্তে কেনা জল খান। অনেকে বাড়িতে বা অফিসে ড্রামের জল আবার অনেকে বোতলের জল কিনে খান। আর গরমের সময় এই তাপদাহে জলের চাহিদা এমনিতেই ২০% বেড়ে যায় । তাই জলের বিজনেস শুরু করলে প্রতিদিনই বহু মানুষ জল কিনবে এবং আপনি মোটা টাকা আয় করতে পারবেন।
জলের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন ?
জলের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে বেশ কয়েকটা জিনিস জেনে নিতে হবে। আপনি যেই জায়গায় এই ব্যবসা শুরু করতে ইচ্ছুক সেখানকার TDS (Total Dissolved Solvents) কতো তা জেনে নিবেন। জলের মধ্যে থাকা দূষিত দ্রবের পরিমানের ওপর নির্ভর করে । প্রশাসনের কাছ থেকে প্রথমে ISI নম্বর এবং লাইসেন্স নিয়ে নিতে হবে। জল পরিশুদ্ধ করার জন্য দরকার RO প্ল্যান্ট। এর দাম কোয়ালিটি বিশেষে প্রায় ৫০,০০০ থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে। এই প্ল্যান্টটির সাথে আরও কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সবমিলিয়ে ধরলে কমবেশি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ভালোমতো এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। যদি আপনি ঘন্টায় প্লান্টের মাধ্যমে ১০০০ লিটার জল উৎপাদন করতে পারেন তাহলে মাসে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা অবধি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। জল উৎপাদন ক্ষেত্রের জন্য ১০০০ থেকে ১৫০০ বর্গফুট জায়গা আদর্শ। তবে জলের বোতল বা ড্রাম বিক্রি করার জন্য আরও কিছু ডকুমেন্টস থাকা প্রয়োজন। কোম্পানির জিএসটি(GST) নম্বর এবং প্যান নম্বর তৈরী করে নিলে ব্যবসা করতে সুবিধা হবে।
জলের ব্যবসায় মার্কেটিং কিভাবে করবেন?
জল জলের ড্রাম বা জলের বোতলে বিক্রি করতে পারেন। বাড়িতে বা অফিস, স্কুল বা কলেজে আপনাকে জলের ড্রাম(২০ লিটার ) হিসাবে বিক্রি করতে হবে। আর ছোট বোতল আপনি সমস্ত ছোট বড় দোকানে বিক্রি করতে পারেন। তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই আপনাকে বেশি গ্রাহকের সাথে সংস্পর্শে থাকতে হবে। এর জন্য আপনাকে ভালো ব্যবহার, দায়বদ্ধতা, সময় মতো জল ডেলিভারি দেওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। একবার কাস্টমার আপনার ব্যবহারে খুশি হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রিপিট অর্ডার পাবেন। এইভাবে গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চেন সিস্টেমে ভালোই ব্যবসা করতে পারবেন। যদি জলের বোতলের ব্যবসা করতে চান তাহলে সবার প্রথমে নিজের স্থানীয় দোকানদার গুলোর সাথে কন্ট্রাক্ট করতে পারেন। আপনার বোতল যাতে দোকানদাররা বেশি পরিমান ক্রেতাকে দেয় সেবিষয়ে আগে থেকেই চুক্তি করে রাখলে ভালো। মনে রাখবেন, একবার আপনার ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে তা থেকে মাসে প্রথমের দিকে হাজারে এবং পরে লাখে ইনকাম করতে পারবেন।
উপসংহার –
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।