আমরা অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাই, কিন্ত সঠিক Business Idea – এর অভাবে আমারা সঠিক ব্যবসা শুরু করতে পারি না। আনেক সময় আমরা ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে ভয় পাই। কিন্তু আমাদের আশেপাশে অনেক সফল মানুষ আছেন যারা অনেক কম টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেছেন এবং আজ প্রচুর টাকা ইনকাম করে সফল হয়েছেন। আজ আপনাদের কে এরকম একজনের কথা জানাব ।
দেশের বড় বড় শহরে যেকোন জায়গায় যেতে ওলা এবং উবারের ট্যাক্সি সার্ভিস মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও গত কয়েক বছরে দেশের ছোট ছোট শহরে বাইক সার্ভিস দিয়ে মানুষের জীবনকে সহজ করতে অনেক সাহায্য করেছে র্যাপিড ।
২০১৫ থেকে ১৭ সালের মধ্যে, অন্তত তিন ডজন স্টার্টআপ ভারতে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা শুরু করেছিল। র্যাপিড -র ব্যবসাও শুরু হয় এই সময়ে। জেনে অবাক হবেন যে মাত্র ৭ বছরের ব্যবসায় র্যাপিড-র ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আজ প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার পাশাপাশি আজ এই কোম্পানির মূল্য প্রায় ৮৩ মিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে খুব শীঘ্রই ভারতের পরবর্তী ইউনিকর্ন হয়ে উঠতে চলেছে র্যাপিড ।
২০১৫ সালে তিন বন্ধু Aravind Sanka , Pavan Guntupalli, SR Rishikesh ব্যাঙ্গলরে এই ব্যবসার শুরু করেন । তবে এই সাফল্য কিন্তু একদিনে আসেনি। র্যাপিড-র ব্যবসায়িক যাত্রায় এমন বহু পরিস্থিতি এসেছিলো যা দেখে সবাই মনে করেছিলো যে এবার হয়তো কোম্পানি বন্ধ করতে বাধ্য হবেন ফাউন্ডাররা। কিন্তু মজার বিষয় হলো, সেই সমস্ত নেতিবাচক মন্তব্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমস্ত বাধার মোকাবিলা করে দেশের অন্যতম বড়ো প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে সংস্থাটি।
ব্যাবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো দুটি সমস্যা ছিলো – ফান্ডিং এবং ওলা উবেরের মতো বড়ো প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রথমত অনেক রাজ্যে পরিবহন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কারণে বাইক এবং ট্যাক্সিগুলি বেশ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। দ্বিতীয়ত ওলা এবং উবের,মূলধন, পরিচালন স্কেল এবং জনবলের দিক থেকে অনেকটাই সমৃদ্ধ। এমনকি অনেক শহরে বাইক পরিষেবাও শুরু করেছে। এই দুটি সমস্যাকে কাটিয়ে ওঠা এতোটাও সহজ ছিলোনা র্যাপিড-র কাছে।
তবে ভাববেন হয়ত এই কথাগুলি আমার নিজের বানানো , কিন্তু আপনারা যদি ইন্টারনেটে সার্চ করেন তবে এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা দের অনেক সাক্ষাৎকার পেয়ে যাবেন ।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে র্যাপিড-র সাফ্যলের বেশ কিছু কারণ আছে এর মধ্যে প্রধান কারণ যেটা হল – উবের এবং ওলার প্রধান ব্যবসা হল ক্যাব পরিষেবা। তাদের গড় সার্ভিস চার্জ হলো ৪০০ টাকা। কিতু যেহেতু ভারতে মানুষের গড় আয় অনেকটাই কম সেই কারণে সবাই ক্যাব ব্যাবহার করতে পারেনা। এই জায়গায় র্যাপিড তার সার্ভিসের দাম কম রেখে বেশ ভালো রকম গ্রাহকের মন জয় করেছে।
২০১৫-১৬ সালে ভারতে বাইক ভাড়া নেওয়ার ধারণাটি মানুষের কাছে যথেষ্ট নতুন ছিলো৷ অচেনা কোনো লোকের পিছনে বসতে মানুষ পছন্দ করতনা। প্রাথমিকভাবে র্যাপিডোর চ্যালেঞ্জ ছিল অচেনা ব্যক্তির পিছনে বসা যাত্রীদের নিরাপদ বোধ করানো। আর এই ভয় কাটাতেই যাত্রীদের জন্য বিশেষ বীমার সুবিধা চালু করেছে র্যাপিডো। জেনে অবাক হবেন যে সংস্থাটি এখন দেশের ৫০টি শহরে ব্যবসা করছে।
উপসংহার – আপনাদের যদি এই লেখা থেকে কিছুমাত্র লাভ হয় তবে তবে কমেন্ট করবেন। আমরা আরও নতুন নতুন সাফ্যলের গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।