এক হার না মানা মায়ের লড়াই,স্বামী ছেড়ে দিলেও সন্তানকে কোলে বেঁধে টোটো চালিয়েই,করে যাচ্ছেন লড়াই – জানুন বিস্তারিত

You are currently viewing এক হার না মানা মায়ের লড়াই,স্বামী ছেড়ে দিলেও সন্তানকে কোলে বেঁধে টোটো চালিয়েই,করে যাচ্ছেন লড়াই – জানুন বিস্তারিত

ক্লাস ১০ পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন , এর পর আর পড়া হয়নি। দিনে আয় করেন ৬০০-৭০০ টাকা । কিন্তু ৩০০ টাকা বেসরকারি এজেন্সিকে দিতে হয়। কেননা সেখান থেকেই ধারে টোটো কিনেছেন তিনি, টোটো চালিয়েই তার সংসার ।

এ এক অদ্ভুত ছবি, কোলের কাছে বাঁধা রয়েছে ছোট্ট শিশু। টোটো চালাচ্ছেন মা। ঘটনাটি আমদেরই দেশের নয়ডার ওই মায়ের জীবনযুদ্ধের কাহিনী শুনলে অবাক হবেন আপনিও। হয়ত আপনার মনে পড়ে যাবে দেশের বীরাঙ্গনা নারীদের কথা। সেই ভোর সাড়ে ৬টায় টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মা চঞ্চল শর্মা। চালকের আসনে বসে রয়েছেন মা। মায়ের কোমরের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে ছোট্ট শিশু। শিশুর জন্য গাড়িতেই থাকে ফিডিং বোতল। সেখান থেকে মাঝেমধ্যে তিনি সন্তানকে দুধ খাওয়ান। এরপর দুপুরে একবার বাড়ি ফিরে সন্তানকে স্নান করিয়ে খাইয়ে ফের টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

এটাই তাঁর রোজকার জীবন যুদ্ধের কাহিনী, এক মায়ের লড়াইয়ের কাহিনি। এভাবেই তিনি সন্তান পালনের পাশাপাশি ই-রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। সেক্টর ৬২তে ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকালস থেকে সেক্টর ৫৯ লেবার চক পর্যন্ত রাস্তায় টোটো চালান তিনি। আপনারা কেউ গেলেও হয়ত তাকে যেকোনো দিন খুঁজে পেতে পারেন, কেননা তার তো কোন ছুটি নেই, সব দিনই তাকে কাজ করতে হয়। না হলে টোটো কেনার পয়সা তুলতে দেরি হয়ে যাবে।

আসলে সন্তানকে ডে কেয়ার বা অন্য কারুন কাছে রাখার মতো সামর্থ্য নেই তাঁর। সেকারণেই সন্তান জন্মের কয়েক মাস পর থেকেই তিনি এভাবেই সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই টোটো চালানো শুরু করেন।

এদিকে রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরুষরাই টোটো চালাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে এভাবে সন্তানকে কোলে নিয়ে কোনও মাকে টোটো চালাতে দেখে অবাক হন অনেকেই। তিনি বলেন, এভাবে আমার লড়াইকে প্রশংসা করেন অনেকেই। বিশেষত মহিলারা আমার টোটোতে উঠতে চান।

তিনি জানিয়েছেন, অঙ্কুশকে বাড়িতে রেখে আসার মতো পরিস্থিতি নেই। স্বামীও তাঁর সঙ্গে থাকেননা। স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি মায়ের সঙ্গে একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন। তিনি বলেন, আমার মা পেঁয়াজ বিক্রি করেন। সেকারণে বাচ্চাকে নিয়েই আমাকে বেরোতে হয়।

তিনি জানিয়েছেন, ক্লাস ১০এর পর আর পড়া হয়নি। দিনে ৬০০-৭০০ টাকা আয় হয়। কিন্তু ৩০০ টাকা বেসরকারি এজেন্সিকে দিতে হয়। সেখান থেকেই ধারে টোটো কিনেছেন তিনি ।

আমাদের দেশে এভাবে অনেক চঞ্চল শর্মা লড়াই করে জীবন যুদ্ধে জয়ী হন। এদেরকে সত্যিই সেলাম জানাতে হয়।

যদি আপনার এই খবর ভাল লেগে থাকে তবে facebook এ অবশ্যই লাইক দেবেন ও অন্যকে শেয়ার করবেন।

উপসংহার –

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।

এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে

শেয়ার করুন -

Leave a Reply