আমরা অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাই, কিন্ত সঠিক Business Idea – এর অভাবে আমারা সঠিক ব্যবসা শুরু করতে পারি না। এছাড়া ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে আমরা অনেকেই ভয় পাই। এর একটা বড় কারণ যদি কোন কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। আপনাদের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে অনেক ব্যবসার ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরি। আজকের আর একটি নতুন ব্যবসার কথা বলব।
এখন জেনে নিই কি এই ব্যবসা –
যে ব্যবসাটি সম্পর্কে আমরা আলোচনা করতে চলেছি সেটি হলো মিল্কশেকের ব্যবসা। এই ব্যবসায় আপনি নামমাত্র পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এখানে গ্রাহকদের খুশি করানোর উপর আপনার ব্যবসার প্রসার নির্ভর করে।
ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসগুলি কি কি?
এই ব্যবসাটি শুরু করার ক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো যথেষ্ট ভালো কোয়ালিটির উন্নতমানের একটি মিক্সার গ্রাইন্ডার। এছাড়াও আপনাকে কতগুলো বোতল, গ্লাস এবং পাত্র কিনতে হবে। এর পাশাপাশি আপনার ব্যবসার প্রচারের জন্য একটি লোগো তৈরি করতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি ব্যবসাটিকে যথেষ্ট বড় করতে চান তবে তার জন্য জিএসটি (GST) নম্বর নেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়।
ব্যবসায় কতো টাকা বিনিয়োগ করতে হবে?
বর্তমানে একটি মিক্সার গ্রাইন্ডারের বাজারদর প্রায় ৩৫০০ টাকা। আপনি যদি ১০০০ টি বোতল অর্ডার করেন এবং প্রতিটি বোতলের দাম ৮ টাকা হলে ৮০০০ টাকা বোতল কেনার ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে আপনার ব্যবসার প্রচারের জন্য যে লোগো প্রয়োজন হবে তা তৈরি করতে প্রায় ২০০০ টাকা প্রয়োজন হবে। এর পাশাপাশি এই লোগোগুলি বোতল কিংবা গ্লাসের উপর ছাপানোর ক্ষেত্রে প্রতি বোতলে যদি প্রায় ৩ টাকা করে খরচ হয় তবে আপনার খরচ হবে আরও ৩০০০ টাকা। এসমস্ত কিছুর পাশাপাশি আপনাকে GST এর জন্য ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে। সুতরাং আপনাকে এই ব্যবসার মুলধন হিসেবে খরচ করতে হবে মাত্র ১৭,০০০ টাকা।
আপনি গ্রাহকদের স্বাদবদল এবং আকর্ষণের জন্য প্লেইন মিল্কশেক, কোল্ড কফি, চকোলেট মিল্কশেক, ম্যাঙ্গো মিল্কশেক, স্ট্রবেরি মিল্কশেক ইত্যাদি বাজারের চেয়ে কমদামে বিক্রি করতে পারেন। ফলত গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের স্বাদের মিল্কশেকেরে কম দামে পেয়ে সহজেই সন্তুষ্ট হবেন। মোটামুটি ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে দাম রাখতে পারেন। এইভাবে সস্তায় ভালোমানের খাবার বিক্রি করলে কোনোরকম প্রচেষ্টা কিংবা বিজ্ঞাপন ছাড়াই সহজেই বিখ্যাত হয়ে যেতে পারবেন।
এর পাশাপাশি আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টগুলো বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান তবে Zomato, Swiggy, Uber it, Foodpanda ইত্যাদি অ্যাপগুলিতে আপনার ব্যাবসাটিকে রেজিষ্টার করতে হবে।
এই দু’টি পদ্ধতিতে আপনি যদি আপনার ব্যবসার নাম বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দিতে পারেন তবে এই ব্যাবসা থেকে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
উপসংহার –
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।