গত দেড় বছরের দেশের বেশ কিছু ব্যাঙ্ক বন্ধের পথে। RBI বা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এই সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সমস্ত ধরনের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এবং সাধারন ভাবে ব্যাঙ্ক বন্ধ হলে চিন্তায় পরে জান ব্যাঙ্কের সাধারন গ্রাহকরা।
কারন সাধারন মানুষ তাদের সারা জীবনের কষ্টের টাকা সঞ্চয় করে রাখেন ব্যাংকে। তাই ব্যাঙ্ক বন্ধের খবর আসলেই সাধারন গ্রাহকদের মাথায় হাত পড়ে যায়। তাই ভাবতে থাকেন তাদের সঞ্চিত টাকা তারা ফিরে পাবেন কিনা?
আমাদের মত সাধারন মানুষ নিজদের কষ্টের টাকা সঞ্চয় করেন সাধারণত ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে (Bank or Post Office), এবং আজকের দিনে দেশের অধিকাংশ মানুষেরই কোন না কোন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকে, এবং তিনি তার সঞ্চয়ের সমস্ত টাকাই কোন না কোন পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক -এ জমা করেন।
কারন সাধারন মানুশের আশা থাকে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যায় পড়লে ব্যাঙ্ক থেকে ওই টাকা তুলে তিনি তা সামলে দিতে পারবেন। আর কোন কারনে যদি সেই বন্ধ-এর মত অবস্থায় পৌঁছে যায় তবে এই সাধারন মানুষরা কি করবেন ?
ব্যঙ্ক বন্ধ হলে কি হতে পারে RBI Rules:
তবে একটা আশার কথা ব্যাবক বন্ধ হলে আপনার খুব বেশী চিন্তা করার কিছু নেই। আপনার যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, কোন কারনে সেই ব্যাঙ্ক যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে আপনি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত পেয়ে যাবেন।
RBI নিয়ম অনুসারে কোন ব্যাংক যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যদি ৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশিও জমা থাকে তবে আপনি বা যেকোনো গ্রাহক ৫ লক্ষ টাকা অবধি ফেরত পাবেন।
কিন্তু এখানে সবচেয়ে জেতা বড় সমস্যা তা হল যার ৫ লাখ টাকার বেশি জমা রেখেছেন তাদের বাকি টাকা পাবেন না। অর্থাৎ যারা পেনশন ভোগী কিম্বা অবসরপ্রাপ্ত, তাদের প্রচুর টাকা সঞ্চয় করা থাকে কিম্বা যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা কারেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে ব্যবসার লেনদেন করেন তাদের বিষয়টি খুবই চিন্তার।
তবে আরও একটা আশার কথা যে RBI কোন ব্যাংককে একবারে বন্ধ হতে দেন না। যদি এরকম কোন সমস্যা দেখা দেয় তবে RBI ওই ব্যাঙ্ককে অন্য কোন ব্যঙ্কের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করে দেয়। এর পরেও যদি কোনো ব্যাংকের পরিস্থিতি খারাপ হয় বা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে DICGC সেই ব্যাংকের সমস্ত অ্যাকাউন্টধারীদের টাকা দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকে। DICGC Bank থেকে এই গ্যারান্টি দেওয়ার বিনিময়ে প্রিমিয়াম নেয়।
এবার যেনে নি যে DICGC কি ?
Deposit Insurance and Credit Guarantee Corporation (DICGC) অ্যাক্টের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকা জমার পরিমাণ নিশ্চিত করা হয়। তবে এর আগে গ্রহকদের ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্যারেন্তি নেওয়া হত , ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন এনে এই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করেছে।
যদি আপনার ব্যাংক ডুবে যায়, তবুও আপনি অ্যাকাউন্টে জমা থাকার পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলেও ৫ লক্ষ টাকা অবধি ফেরত পাবেন।
তবে সরকার এবং সাধারন মানুষের তরফ থেকে চিন্তার ব্যাপার যে গত ১৫ মাসে আমাদের দেশের ৩৫টি ব্যাংকের ৩ লক্ষ গ্রাহকের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এবং ভারত সরকার এই আইনের আওতায় জনগণকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা তাদের ফেরত দিয়েছেন।
তবে এই নিয়ম অবশ্যই মনে রাখবেন যে RBI বা রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে AID-তে যোগ দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে সমস্ত গ্রাহকের আমানত এবং লোনের তথ্য জানিয়ে দিতে হবে। এবং এর পর RBI এর নির্দেশে অনুসারে DICGC কেবল মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে সমস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়ে দেবে।
আপনি কি ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলের 31 ডিসেম্বরের সময়সীমা মিস করে গেছেন ? ভয় নেই , জেন নিন কি করতে হবে?
মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নতুন নিয়ম চালু করল সরকার ও পর্ষদ, সমস্যা মেটাতে কড়া পদক্ষেপ