তিনি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি বিভাগ, ফেডারেল এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি কমিশনের সঙ্গে কাজ করছেন , এবং এর জন্য প্রেসিডেন্টের মার্কিন জো বাইডেন এর ট্রানজিশন এজেন্সির একজন সদস্য মনোনীত হয়েছেন। তিনি এর আগে 2009 সালে রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা এর সময় অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি-এনার্জির ডিরেক্টর এবং এক বছরের জন্য মার্কিন সরকারের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন।
তিনি আমাদের রাজ্যের গর্ব অরুণ মজুমদার, অনেকদিন ধরেই মার্কিন মুলুকে তিনি নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন আছেন, কিন্তু হলে কি হবে শুধু মাত্র মিষ্টি আর মুর্গি খাওয়ার জন্য ঘন ঘন সুদুর ক্যালিফোর্নিয়ায় থেকে কলকাতায় দৌড়ে আসেন। রসগোল্লা আর মিহিদানা তার ভীষণ প্রিয়।
কলকাতার ছেলে অরুণ মজুমদারের এখন থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ায় , যার ঘন ঘন তার কোলকাতা শহরে ফিরে আসা অনেকাংশে খাবার এবং বন্ধু – বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জন্য।
তিনি একজন পদার্থ বিজ্ঞানী এবং এখন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির জে প্রিকোর্ট প্রভোস্টিয়াল চেয়ার প্রফেসর, মোচার তরকারি এবং মুর্গি এবং মিষ্টি নিয়ে কাজিনদের সাথে আড্ডা সেশন কলকাতায় একটি বড় আকর্ষণ রয়ে গেছে। তার বাবা ছিলেন ভারতের সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টর এবং জাতিসংঘের একজন আধিকারিক, তিনি বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করেছেন এবং নান জায়গায় থেকেছেন। তার মা, যিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা, পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে কলকাতার দম দম এবং সল্টলেকে তার জীবনের অনেকটা সময় কাতিয়েছেন।অরুন নিজে দিল্লি, মুম্বাই, ত্রিনিদাদ এবং লন্ডনে বসবাস করেছেন, কিন্তু এখনও কলকাতাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসেন।
অরুন মজুমদার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির জে প্রিকোর্ট প্রভোস্টিয়াল চেয়ার প্রফেসর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন ফ্যাকাল্টি সদস্য এবং সিনিয়র ফেলো এবং প্রিকোর্ট ইনস্টিটিউট ফর এনার্জির প্রাক্তন পরিচালক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি সঙ্গে কি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছিলেন এই প্রশ্নের উত্তরে অরুন বলেন – ভূমিকাটি ছিল এই বিভিন্ন ফেডারেল এজেন্সিগুলির অবস্থার মূল্যায়ন করা এবং রাষ্ট্রপতি বিডেনের নীতিগুলি এবং আইনসভা শাখা (কংগ্রেস) দ্বারা তৈরি যে কোনও নতুন ভূমিকা এবং দায়িত্বগুলি কার্যকর করার জন্য এই সংস্থাগুলিকে স্থানান্তর করার জন্য কী পদ্ধতির প্রয়োজন। ভূমিকাটি 2021 সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যায় যখন রূপান্তরটি সম্পন্ন হয় এবং রাষ্ট্রপতি বিডেন রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এছাড়া তিনি আরও বলেন যে – প্রেসিডেন্ট বিডেনের সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ হয়েছিল যখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং আমি যখন ওয়াশিংটন ডিসিতে ছিলাম তখন তিনি আমেরিকান রিকভারি অ্যান্ড রিইনভেস্টমেন্ট অ্যাক্ট (এআরআরএ বা রিকভারি অ্যাক্ট) 2009 কার্যকর করার জন্য দায়ী ছিলেন। আমাকে ARPA – E-এর নেতৃত্ব দিতে বলা হয়েছিল অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি – এনার্জি), যা প্রাথমিকভাবে ARRA দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল। আমিও তার সাথে এয়ার ফোর্স 2-এ ভ্রমণ করার সৌভাগ্য পেয়েছি এবং সেই সফরে আমরা অর্থনৈতিক , পরিবেশগত নিরাপত্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে শক্তিতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ভূমিকা নিয়ে একটি দুর্দান্ত আলোচনা করেছি। যথারীতি বাঙালি খাবার নিয়েও কিছু আলোচনা হয়েছিল, হাসতে হাসতে বলেন।
তিনি চাইছেন কোলকাতা তে একটা সংস্থা তৈরি করতে যাতে করে সাধারন মানুষের নানা রকমের সমস্যার সমাধান করা যায়। অরুন বাঙলার অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কে প্রচুর টাকা সাহায্য করেন। এরা এত বড় পদে থেকে কাজ করেও বাঙলাকে ভুলে যায়নি।
এই সমস্ত বাঙালিরা আমাদের সত্যিই গর্বের , এদের জন্য আমাদের রাজ্য ও দেশের নাম উজ্জ্বল হয়। এরা সত্যিই সেলামের যোগ্য ।
যদি আপনার এই খবর ভাল লেগে থাকে তবে facebook এ অবশ্যই লাইক দেবেন ও অন্যকে শেয়ার করবেন।
উপসংহার –
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।
এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।