হায়দরাবাদের নিজামের বিখ্যাত তলোয়ার ১১৭ বছর পর ব্রিটেন থেকে ভারতে ফিরে আসছে- বিস্তারিত পড়ুন 

You are currently viewing হায়দরাবাদের  নিজামের বিখ্যাত তলোয়ার  ১১৭ বছর পর ব্রিটেন থেকে ভারতে ফিরে আসছে- বিস্তারিত পড়ুন 

প্রায় ১১৭ বছর পেরিয়ে গেছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো থেকে এবার ভারতে ফিরছে হায়দরাবাদের নিজামের ‘সর্পাকৃতি’র বিশেষ তলোয়ার। ভারতে এলে এই বিখ্যাত জিনিসটি হায়দরাবাদের সালার জং সংগ্রহশালায় রাখা হবে । 

গত শতাব্দীর শুরুর যখন আমাদের দেশে ব্রিটিশ রাজ চলছে তখন ‘সর্পাকৃতি’ ওই তলোয়ার নিজামের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন এক ব্রিটিশ সেনা অফিসার।এর পরে সেটি নিয়ে ইংল্যান্ড চলে যান তিনি। এবং অনেক হাত ঘুরে এই বিশেষ তলোয়ার স্থান হয় স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত গ্লাসগো সংগ্রহশালায়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ফের সেই তলোয়ার স্কটল্যান্ডের থেকে ফেরত পাচ্ছে নয়াদিল্লি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর আনুজায়ি এই সমস্ত বিষয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দেশ তার পুরনো বিখ্যাত জিনিসটি ফিরে পাবে।

এছাড়াও কালো পাথরের সূর্য মূর্তি এবং কানপুরের একটি মন্দিরের দরজার ফ্রেমও ভারতকে ফেরত দেবে গ্লাসগোর ওই সংগ্রহশালা।

ভারত সরকার ঔপনিবেশিক সময়কার বহু শিল্পসামগ্রী আবার পুনরায় দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্য়োগী হয়েছে । সূত্রের খবর, ভারতীয় হাই কমিশনারের চেষ্টায় এবার সাতটি শিল্পসামগ্রী ফেরাতে রাজি হয়েছে গ্লাসগোর সংগ্রহশালা। এর মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদের নিজামের ওই ‘সর্পাকৃতি’ তলোয়ার। 

গ্লাসগো সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘খ্রীষ্টীয় ১৪ শতকের ওই তলোয়ারটির মালিক ছিলেন হায়দরাবাদের নিজাম মাহবুব আলি খান ষষ্ঠ আসফ ঝার প্রধানমন্ত্রী মহারাজা কিষেণ পের্শাদ বাহাদুর ইয়েমিন আস সুলতানত। ১৯০৫ সালে বোম্বে প্রেসিডেন্সির ব্রিটিশ সেনা অফিসার জেনারেল স্যার আর্চিবোল্ড হান্টার সেটি কিনে নেন। পরবর্তীকালে তলোয়ারটি নিয়ে ইংল্যান্ডে চলে যান তিনি।’ 

১৯৭৮ সালে আর্চিবোল্ড হান্টারের এক বংশধর সেই তলোয়ারটিকে তাদের উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে গ্লাসগোর ওই সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ।

নিজামের প তলোয়ারটির বেশ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট রয়েছে। প্রথমত, তলোয়ারটি দেখতে সাপের মতো। দ্বিতীয়ত, এর খাপে রয়েছে সোনার পাত। সোনা দিয়ে তৈরি হাতি এবং বাঘের ছবি আঁকা রয়েছে ওই তলোয়ারের খাপে। 

কিছু ঐতিহাসিকের দাবি, এক সময় এই তলোয়ার ব্যবহার করতেন স্বয়ং নিজাম। কিন্তু পরবর্তীকালে তা তার প্রধানমন্ত্রী কে তিনি তা দিয়ে দেন। তবে এই ব্যাপারে যথেষ্ট অস্পষ্টতা আছে। 

সালার জং সংগ্রহশালার ডিরেক্টর নাগেনডর রেড্ডির কথায়, ‘নিজামের প্রধানমন্ত্রী কিষেণ পের্শাদ বাহাদুর যথেষ্ট বিত্তবান ছিলেন। তাদের পরিবার বংশ পরম্পায় নিজামের রাজসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। নিজাম এই পরিবারটিকে খুবই বিশ্বাস করতেন। সেই কারণেই এই পরিবারের কাছে তলোয়ার বিক্রি করতে দু’বার ভাবেননি নিজাম।’

গ্লাসগো সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেইলি অ্যানিটি ক্রিসটি বলেন, ‘এই সমস্ত শিল্পসামগ্রীর সাংস্কৃতিক গুরুত্ব স্কটল্যান্ড ও ভারতের কাছে অপরিসীম। তাই এই উদ্যোগের মাধ্যমে অতীতের ভুল ধারণাগুলোকে দূর করা হলো।’

যদি আপনার এই খবর ভাল লেগে থাকে তবে facebook এ অবশ্যই লাইক দেবেন ও অন্যকে শেয়ার করবেন।

উপসংহার –

এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।

এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে

শেয়ার করুন -

Leave a Reply