আপনার যদি কোন ব্যবসা করার কথা ভাবছেন, এবং আপনি যদি নতুন কিছু করতে চাইছেন তাহলে আপনার জন্য আমি একটি ভালো ব্যবসা নিয়ে এসেছি। আপনি যদি চাষ বাসে আগ্রহ হন , তবে আপনি নিশ্চই জানবেন প্রতিটি ফসল প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফসলের ফলন ভাল হয় । এবং প্রকৃতির বিভিন্ন খাম-খেয়ালি পনায় আপনার অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যায় । তবে এখন আমি যে ফসলের কথা বলতে যাচ্ছি, আপনি এটি প্রতিটি মৌসুমে চাষ করতে পারেন, গ্রীষ্ম হোক বা প্রতিটি ঋতুতে এর চাহিদা সারা বছর থাকে। বৃষ্টি, ঠান্ডা হোক বা ঠাণ্ডা হোক, সব বয়সের মানুষ এটি খেতে ভাল বাসেন। বাজারে এর ডিমান্ড সব সময় খুব বেশী।
আমি আপনাদের কে কাজু বাগানের কথা বলছি, আপনি কাজু গাছ লাগিয়ে কাজু বাদাম তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। কাজু গাছ লাগালে কমপক্ষে 3 বছরের মধ্যে কাজু ফসল ফলতে শুরু করে। এবং তার পর ফল তুলে তা প্রসেসিং করে তা বিক্রি করা হয় । কাজু শুকানো খুব জনপ্রিয় হিসাবে বিক্রি হয় ।
কাজু গাছ বেশ লম্বা হয়, এটি প্রায় 14 মিটার থেকে 15 মিটার বা তার বেশি হয়, কাজু বিভিন্ন ধরণের খাবারে ব্যবহৃত হয়, এবং এটি ব্যবহারে খাবারের স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। এবং কাজুর পুষ্টিগুণ ও খুব বেশী , এই কারণে এটির বিক্রি খুব বেশি হয়, এবং সব সময় উচ্চ মুল্যে বিক্রি হয় । তাই এই ব্যবসা আপনাকে প্রচুর লাভ দিতে পারে, এমনকি কাজুর খোসাও বিক্রি করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারেন, কারন কাজুর খোসা রং এবং লুব্রিকেন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ।
কাজু গাছের ফলন 30 থেকে 35 ডিগ্রি ম তাপমাত্রার মধ্যে খুব ভাল হয়। তবে আপনি এই গাছ কে যে কোনও মাটিতে জন্মাতে লাগাতে পারেন, তবে লাল দোআঁশ মাটিতে তার ভাল হয়।
ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে কাজু চাষ হয়, যেমন কেরালা, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক এবং অন্যান্য বেশ কিছু রাজ্যে কাজু চাষ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক হেক্টর জমিতে 500টি কাজু গাছ লাগানো যায় এবং একটি গাছ থেকে প্রায় 20 কেজি কাজু ফলন পাওয়া যায় ।
কাজু এর ব্যবসায় কাজু চাষ ছাড়া আপনি কাজু প্রসেসিং করেও প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন। প্রসেসিং ব্যবসায় আপনাকে চাষিদের কাছ থেকে কাজু নিয়ে এসে আপনাকে প্রসেসিং করে বাজারের বিক্রির উপযোগী করে মার্কেটে বেচে দিতে হয়। এবং ঠিক মত ব্যবসা করলে কোটিপতি হতে বেশি না ও লাগতে পারে।