সন্তানের মোবাইল আসক্তি নিয়ে ভীষণ চিন্তায়?এই 4টি উপায় অবলম্বন করলে কেটে যাবে মোবাইল আসক্তি-জেনে নিন

You are currently viewing সন্তানের মোবাইল আসক্তি নিয়ে ভীষণ চিন্তায়?এই 4টি উপায় অবলম্বন করলে কেটে যাবে মোবাইল আসক্তি-জেনে নিন

মা-বাবার সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার সন্তান। আর এই সন্তানের জন্য আমরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করি সমস্ত কষ্ট মুখ বুজে সহ্য করে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করি, যাতে কখনো সন্তান কষ্ট না পায়। কিন্তু সেই সন্তানই যদি বিপথে যায়, কিংবা সারাদিন ফোনে ব্যস্ত থাকলে, বাবা- মায়ের চিন্তার সীমা থাকে না।

সন্তান যদি মেধাবী হয়, নানা বিষয়ে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার অর্জন করে, বাবা-মায়ের আনন্দের সীমা থাকে না। কিন্তু তা না করে যদি সারাদিন মোবাইল ফোনে গেম খেলা, ভিডিও দেখা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে তাতে ক্ষতি হয় পড়াশোনার। সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি হয় ভবিষ্যতের। এই সমস্যা থেকে সন্তানকে কি করে বের করা সম্ভব?

আমাদেরকে সন্তানদের সঙ্গে কক্ষনই কিন্তু খারাপ ব্যবহার করা যাবে না, এতে হিতে সবসময় বিপরীত হতে পারে। তাই আমাদেরকে কিছু পথ অবলম্বন করতে হয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

সন্তানের জন্য আলাদা খেলার ঘর থাকলে ভাল হয়

 সন্তানকে মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে খেলার জন্য একটা আলাদা জায়গা তৈরি করতে হবে। যেখানে সে ভার্চুয়াল জগত থেকে দূরে থাকবে অর্থাৎ ইন্টারনেট সম্পর্কিত সরঞ্জাম থেকে দূরে। নিজের কল্পনা শক্তিকে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে স্থাপন করতে সক্ষম হবে। ছোটবেলা থেকেই এই স্বভাব থাকা খুব ভালো।

টিভি বা ফোন ব্যবহারে নির্দিষ্ট সময় রাখা

সন্তানকে জানিয়ে দেওয়া প্রতিদিন সে কেবলমাত্র ১ বা ২ ঘণ্টা পাবে টিভি বা ফোনে ভিডিয়ো দেখার জন্য। আর এটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সন্তানের ঘরে টিভি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

পুরস্কার প্রদান ও উৎসাহ বাড়ানো

 খেলাধুলা বা অন্য কোনো বিষয়ে পারদ্যর্গ্যশী হলে যেমন আঁকা, গান ইত্যাদিতে ভাল কাজ সুসম্পন্ন করলে সন্তানকে পুরস্কার প্রদান করতে হবে। ফলে তার উৎসাহ আরো বাড়বে। এক্ষেত্রে যে কোনো কাজ যেমন- বাড়িতে পোষ্য থাকলে, সেই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

সন্তানের কাছে সব সময় বাবা-মা ই হিরো হওয়া দরকার

ছোটো থেকে সন্তান তার বাবা-মা কে দেখে দেখে বড় হয়। তাই তাদের সামনে ভালো কাজের দিকটি সর্বদা ফুটিয়ে তুলতে হবে। চোখের সামনে যা দেখে সে সেটাই শেখার চেষ্টা করবে। তাই নিজে যদি সন্তানের কাছে আইডল বা আদর্শ হয়ে ওঠেন, তবে ভবিষ্যতে সেও আপনার মতো সৎ পথে চলতে সাহস পাবে।

আশাকরি এই সমস্ত পথ যদি মেনে চলা যায় তবে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সন্তান খারাপ আসক্তি ফিরে আসবে। এছাড়া আমাদের বাব-মা দের বেশী করে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো দরকার।

যদি আপনার এরকম তথ্য ভাল লাগে তবে facebook এ অবশ্যই লাইক দেবেন ও অন্যকে শেয়ার করবেন।

উপসংহার –

ব্যবসা-বাণিজ্য, নান রকমের খবর, প্রতিদিনের সমস্যা সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।

শেয়ার করুন -

Leave a Reply