রেশন কার্ড থাকলেই আপনি জেনে নিতে পারেন একটি বড় সুখবর। আপনি যদি নিয়মিত রেশন কার্ড ব্যাবহার করে সরকারি রেশন বণ্টন ব্যাবস্থার মাধ্যমে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করে থাকেন। তবে কিন্তু এই নতুন বছরে আপনার জন্য একটা বড় সুখবর অপেক্ষা করে আছে।
তাই Ration Card থাকলেই আপনি নতুন বছরে পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি বড় উপহার।Ration Card থাকলেই আপনি রাজ্য সরকার-এর তরফ থেকে ১০০০ টাকা উপহার পাচ্ছেন এই জানুয়ারিতে।তবে শুধু যে টাকা পাবেন তা নয় তার সঙ্গে চাল এবং চিনিও পাবেন।
তবে সব রাজ্য সরকার কিন্তু এই উপহার দিচ্ছে না। এখন জেনে নেওয়া যাক কোন রাজ্য সরকার এই সুবিধা দিচ্ছে।
পোঙ্গল তামিলনাড়ুর অনেক বড় উৎসব। তামিলনাড়ু রাজ্যে এই পোঙ্গল কে ভীষণ ভাবে পালন করা হয় । এবং আপনারা হয়ত যেনে থাকবেন যে প্রতিবছর তামিলনাড়ু সরকার পোঙ্গল উৎসব উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে টাকা এবং তার সঙ্গে চাল, চিনির ইত্যাদি নানা রকমের খাদ্যদ্রব্য দিয়ে পোঙ্গল উৎসবের সুভেচ্ছা জানান।
এবছর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ঘোষণা করেছেন যে , রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দাদের অর্থাৎ তামিলনাড়ুর রেশন কার্ডধারীদের পোঙ্গল উৎসব উপলক্ষে ১ হাজার টাকা করে সবাই কে রাজ্য সরকার উপহার দেবে। এবং তিনি এও বলছেন যে এই টাকার সঙ্গে সঙ্গে রেশনে চালও উপহার হিসাবে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন-এর এই দুরন্ত সিদ্ধান্তের পরে তামিলনাড়ু সাধারন মানুষদের মনে ভীষণ রকম ভাবে খুশীর বন্যা বয়ে গেছে । তাড়া মনে করছে তাদের পোঙ্গল উৎসব খুব ভালই কাটবে ।
তবে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন-এর এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের ২.১৯ কোটি রেশন গ্রাহক ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন। এবং তামিলনাড়ু সরকার কে এর জন্য ২৩৫৬.৫৭ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। আগামী ২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন পোঙ্গল উপহার প্রকল্প চালু করবেন। ১৫ ই জানুয়ারি পোঙ্গল উৎসব সম্পন্ন হবে।
এবং সরকার সুত্রে জানা গেছে যে শ্রীলংকার পুনর্বাসন শিবিরে বসবাসকারী বাসিন্দাদেরও এই উপহার দেওয়া হবে। এবং এই টাকার সঙ্গে ১ কেজি চাল এবং ১ কেজি চিনিও উপহার হিসাবে দেওয়ার কথাও সরকার ঘোষণা করেছে।
তবে আপনাদের জানার বলে রাখি তামিলনাড়ু সরকার এর আগে ও এই ধরনের কাজ করেছেন।
সরকার ২০১৫ সালে সবাইকে ব্যাগ উপহার দিয়েছিল।
২০১৯ সালে রাজ্যের বাসিন্দাদের ১০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
২০২০ এবং ২০২১ সালে ২৫০০ টাকা করে সবাই কে দেওয়া হয়েছিল।
এবং সরকার চাল, গম, চিনির মতো খাদ্যদ্রব্য রাজ্যের সাধারন মানুষকে উৎসবের সময় দিয়ে থাকে।