Success Story:এই মহিলার নৌকা চালিয়ে নদীতে মাঝ ধরে সংসারে হাঁসি ফোটানোই তার জীবনের যুদ্ধ।

You are currently viewing Success Story:এই মহিলার নৌকা চালিয়ে নদীতে মাঝ ধরে সংসারে হাঁসি ফোটানোই তার জীবনের যুদ্ধ।

এ এক আলাদা success -এর কাহিনী , এই কাহিনীর নায়ক নায়িকাদের জীবনের লক্ষই হল কোন রকমের খেয়ে পরে বাঁচা । এদের জীবন সংগ্রাম ভীষণ কষ্টের । আজকের কাহিনী সুধা মালিকের।

এ এক অন্যরকম লড়াইয়ের কাহিনি। উলুবেড়িয়ার করাতবেড়িয়ার সুধা মালিকের সঙ্গে বাগনানের দে গ্রামের রবীন মালিকের বিয়ে হয়েছিল। মৎস্যজীবী রবীন নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যেতেন। কিন্তু  নৌকা নিয়ে একা নদীতে মাছ ধরার সমস্যা অনেক। তার উপরে সেই নৌকা যদিও অন্যের কাছ থেকে ভাড়া করে নিতে হয়, তাহলে তো পরিশ্রমের গুড় সব পিপড়েতেই খেয়ে নেয়। অর্থাৎ এত কষ্ট করে আয় করার বেশির ভাগ টাকা দিয়ে দিতে হত নৌকার মালিক কে। স্বাভাবিকভাবে সেই কারণে তাঁর সংসারে স্বচ্ছলতা আসেনি। বিয়ের পর তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন সুধা। এর মধ্যেই সুধার কোলে এসেছিল ছেলে এবং মেয়ে। নিজের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং স্বামীর পাশে দাঁড়াতে তাঁর সঙ্গে নৌকায় চেপে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সুধা। প্রাথমিকভাবে সেই প্রস্তাবে রবীন রাজি হননি। তখন সুধা স্বামীকে বুঝিয়েছিলেন, সন্তানদের ভালোভাবে রাখতে হলে আর্থিক উন্নতির প্রয়োজন। আর সেটা রবীনের একার আয়ে কখনও সম্ভব নয়।
এরপরই নৌকায় চেপে মাছ ধরার কাজ বেছে নিয়েছিলেন সুধা। তবে সমস্যাও ছিল। মাছ ধরে যেটুকু আয় হতো, তার সিংহভাগ টাকাই নৌকার মালিককে দিয়ে দিতে হতো। তবে লড়াই থামেনি সুধার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল বাগনান ১ মহিলা বিকাশ সমিতির ফিল্ড সুপারভাইজার পার্বতী দত্ত সরকারের সঙ্গে। পার্বতীর মাধ্যমে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে নিজে নৌকা কিনেছিলেন সুধা।  আর সেই নৌকা নিয়েই সুধা চলে যেতেন নদীতে। জোয়ারের সময়ে জাল বিছানো, আর পরে ভাটা পড়লে সেই জালে আটকে থাকা মাছ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করা। বর্তমানে নিজের নৌকা হওয়ায় সুধার আয়ও বেড়েছে। সুধার ১৮ বছরের ছেলে গৌরাঙ্গ এখন সোনার দোকানে কাজ করেন। মেয়ে অপর্ণা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। শুধু ভাতকাপড় নয়, সুধার স্বপ্ন ছেলেমেয়েকে মানুষ করা। সেই স্বপ্ন নিয়েও রোজ পরিশ্রম করে চলেছেন। এবং করে চলেছে তার যুদ্ধ, আর দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে তাঁর সেই স্বপ্ন আজ সফল হওয়ার মুখে।

জানিনা আজকের এই কাহিনী কে আপনি Success Story হিসাবে ধরবেন কিনা, কিন্ত আমার চোখে এটা একটা Great Success -এর কাহিনী আমাদের সামজের । এবং এরাই আমাদের অনেকেরই অনুপ্রেরনা হতে পারে। তাই সুধা দেবী কে সেলাম করতেই হয় ।

যদি আপনার এই খবর ভাল লেগে থাকে তবে facebook এ অবশ্যই লাইক দেবেন ও অন্যকে শেয়ার করবেন।

উপসংহার –

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং উপরের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে । যদি আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকে তবে আপনি নিচে কমেন্ট করবেন।

এইরকম আরও নানান নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্য মূলক আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং ডানদিকের উপরের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে

শেয়ার করুন -

Leave a Reply