আবাস প্লাস যোজনায় বাড়ী পেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে। কারন প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায় বেশি কিছু নিয়মের বদল হ্যেছে।এখন আজকের এই নিবন্ধে আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায় নতুন নিয়ম মেনে কিভাবে আপনি বাড়ী পাবেন তা নিয়ে আলোচনা করব ।
প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায় এবার থেকে তিন ধাপে ভেরিফিকেশনের পর প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনার সংশোধিত তালিকায় অনুমোদন করা হয়েছে। এবং সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ যে – যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ সেউ টাকার সঠিক ভাবে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করতে হবে।
![প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায়](https://businessinbangla.com/wp-content/uploads/2023/01/আইপিএল-2023-প্রাইজ-মানি-জেনে-নিন-7-1024x576.jpg)
আপনি যদি ভাবে সরকারি অনুদানের সঙ্গে আপনি কিছু টাকা যোগ করে অর্থাৎ উপভোক্তাদের নিজের পকেট থেকে না কোন টাকা এই যোজনায় বেশি করে বিনিয়োগ করতে পারবে না। এবং পাশাপাশি সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ বাড়ির আয়তনও কোনও ভাবেই ২৭০ বর্গফুটের বেশি হবে না।
এবার যেনে নিই আবাস যোজনার কি কি নতুন নিয়ম হয়েছে –
আমদের রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আবাস যোজনার নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছেন – তিনি বলেন ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার নানা অজুহাতে বার বার আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে। এ বার যাতে কোনও রকম অজুহাত খাড়া করতে না পারে, তাই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ তাড়া চাইছেন আবাস যোজনার সঠিক গাইড লাইন জেন সবাই মেনে বাড়ী তৈরি করেন।
তবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে অনেক সাধারন মানুষ জিজ্ঞেস করেন, মাত্র মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় এক তলা বাড়ি কিভাবে করা যাবে, এখানে যদি উপভক্তা কিছু টাকা বিনিয়োগ করেন তবে বাড়ী কিছুটা ভাল করে বানানো যায়। কারন বাড়ী তো মানুষ একবারই করবেন সারা জীবনে । এবং এতে তবে ক্ষতি কি?
এবং অনেকের মতে সরকারের দেওয়া ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় আদপেই বাড়ি তৈরি সম্ভব কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি রাজ্যে আবাসের কাজ করার সময় সমস্ত রকম নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছিল। এবং এই প্রতিনিধি দল মালদহ এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অনেক জায়গায় পরিদর্শন করেছেন। এবং সাধারন মানুষ কেন্দ্রীয় দলের সদস্যের কাছে নিজেদের এমন আশঙ্কা কথা জানিয়েছেন । এবং এই তার পর রাজ্য সরকারের এই যোজনায় যাতে সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন হয় তার জন্য এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিইয়েছেন।
এবং এর সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়ম যাতে কার্যকরী হয়, সেদিকে নজরদারি করার জন্য রাজ্য সরকার তৈরি হচ্ছে একটি বিশেষ দলও।
এর আগে পর্যন্ত আবাস যোজনায় সরকারি অনুদানের সঙ্গে উপভক্তারা পকেট থেকে কিছু টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এর ফলে কোন কোন বাড়ী আবাস যোজনার মাধ্যমে হয়েছে কিন্তু বাড়ী বিশালাকার প্রাসাদের চেহারা নিয়েছে ! বছরখানেক আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সমীক্ষা চলাকালীন এ রকম বেশ কিছু প্রাসাদোপম বাড়ির অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসায় তা নিয়ে শুরু হয় জোরদার বিতর্কও।
এবং এই সমস্ত কারনে এই বছর আবাস প্লাস যোজনার বাড়ি নির্মাণ নিয়ে এবং কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ থেকে টাকা পেতে এবং কোন রকম বিতর্ক এড়াতে ‘অতিসতর্ক’ রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে।
এই নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতেই বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার।
তবে এবার থেকে আবাস যোজনার বাড়ি নির্মাণের কাজ সময় মতো শেষ হচ্ছে কি না, তা সরাসরি প্রতি জেলার সংশ্লিষ্ট বিডিও এবং মহকুমাশাসকদের নজরে রাখতে বলা হয়েছে। সাথে আরও বলা হয়েছে, প্রতি মাসে প্রোগ্রেস রিপোর্ট জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছেও পাঠাতে হবে।
Jio New Family Plan: পরিবারের একজন রিচার্জ করুন এবং উপভোগ করুন সবাই, তাও একেবারে জলের দরে